নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের (২৪) শরীর ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে আজ মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ফারদিনের মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত তথ্য জানতে পারব।’
এদিকে ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার বন্ধু ও এক বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তার বান্ধবী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। চার বছর ধরে তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ফারদিন।
ফারদিন নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবার করা জিডি তদন্তের সঙ্গে যুক্ত পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার দিন বিকেলে পরশ রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় তার বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে রিকশায় করে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় যান।
ওই বান্ধবীর ভাষ্যমতে, টিএসসি থেকে তারা রিকশায় রামপুরা আসেন। তবে পুলিশ ওইদিন ফারদিনের রামপুরা আসার কোনো তথ্য পায়নি।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বনানী ঘাট থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে করেছে নৌ পুলিশ। ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি বুয়েট ডিবেটিং ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিলেন ফারদিন।
ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন বিজনেস পত্রিকা ‘দ্য রিভারাইন’–এর সম্পাদক ও প্রকাশক। ফারদিনের মা ফারহানা ইয়াসমিন গৃহিণী। তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলায়।
কাজী নূর উদ্দিন বলেন, ‘গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে ফারদিনের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তার সর্বশেষ অবস্থান ছিল রামপুরা থানা এলাকায়। কোথাও তার খোঁজ না পেয়ে ওই থানায় শনিবার একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। নৌ পুলিশের ফোন পেয়ে নারায়ণগঞ্জে গিয়ে ফারদিনের লাশ শনাক্ত করি।’
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।