পটুয়াখালীর অভ্যন্তরীণ রুটসহ ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে পটুয়াখালী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে কুয়াকাটায় আগত পর্যটক ও সাধারণ মানুষ।
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি জানায়, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে চলছে ব্যাটারিচালিত মাহিন্দ্রা, অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের তিন চাকার যান। আইন ও নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে দূরপাল্লার পরিবহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব ছোট ছোট যান। ফলে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে চলা এসব তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের দাবিতে ৪ তারিখ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে স্থানীয়রা জানান, আগামী শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে নেতাকর্মীরা যাতে উপস্থিত হতে না পারে সেজন্য পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। মাঝখানে সাধারণ মানুষ পড়েছে বিপাকে।
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন মৃধা জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে এসব যান চলাচলের ফলে প্রতিদিন এ মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। যতদিন মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ করা না হবে ততদিন পরিবহন ধর্মঘট চলবে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘যারা বর্তমানে কুয়াকাটা আছেন তাদেরকে আমরা ধর্মঘটের বিষয়টি অবহিত করেছি এবং যারা হোটেল বুকিং দিয়েছিলেন তাদের বুকিং আমরা বাতিল করেছি।’