গরু বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দু’জন নিহত হয়েছেন।এ সময় আহত হয়েছেন আরও দু’জন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়ায় রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় সময় ট্রাকে থাকা ১৯টি গরুর মধ্যে ৭টি গরু ঘটনাস্থলে মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর আঞ্চলিক সড়কের আলুকদিয়া বিশ্বাস ফিলিং স্টেশনের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, মেহেরপুর জেলার রায়পুর গ্রামের লুৎফরের ছেলে আশরাফুল হক (৫০) ও একই জেলার বাসস্ট্যান্ড পাড়ার হারুন উর রশিদের ছেলে মনির হোসেন (৪৫)।
আহতরা হলেন, একই জেলার রায়পুর গ্রামের নিজাম শেখের ছেলে কালাম (৪০) ও জেলার শহরের খন্দকারপাড়ার জহিরের ছেলে মিনারুল ইসলাম (৪১)।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাকের আংশিক অংশ কেটে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকে ১৯টি গরুর মধ্যে ৭টি গরু ঘটনাস্থলেই মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রাকটি মেহেরপুর যাচ্ছিল। হেলপার ট্রাকটি চালাচ্ছিল বলে জেনেছি।
পুলিশ জানিয়েছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা গরুবোঝাই একটি ট্রাক মেহেরপুর যাচ্ছিল। পথিমধ্যে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া তেল পাম্পের পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা গাছে ধাক্কা লাগে। এতে গাছ ট্রাকের ভেতর ঢুকে পড়লে চালক ও হেলপার আটকা পড়েন। ট্রাকের উপরে থাকা গরু ব্যাপারী আশরাফুল ঘটনাস্থলে মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাকের ইঞ্জিনের আংশিক অংশ কেটে জীবিত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠান। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনির হোসেন নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. লিওন বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই আশরাফুলের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩ জনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনির হোসেন মারা যান। বাকি দুজন শঙ্কামুক্ত। তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) নীরব হোসেন বলেন, চালকের পরিবর্তে হেলপার ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন। ট্রাকে ১৯টি গরুর মধ্যে ৭টি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বাকি গরুগুলো মারাত্মক আহত হয়েছে।