বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি। আগামী শনিবার পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (২ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে ভোলা-বরিশাল রুটের লাইন সুপারভাইজার তারেক শাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা আমরা দিইনি। ভোলা মালিক সমিতির লোকজন এ ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার রাত ১০টার দিকে তারা আমাদের জানিয়েছেন শনিবার পর্যন্ত স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে।
তারেক শাহ বলেন, বরিশাল-ভোলা রুটে প্রতিদিন দুই শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করে।
এদিকে লঞ্চ মালিকরা লঞ্চ চলাচল বুধবার পর্যন্ত বন্ধ না করলেও বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েই বন্ধ করতে পারেন বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে লঞ্চ মালিকরা এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি।
সূত্রটি জানিয়েছে, কোনো কারণ না দেখিয়েই ৪ ও ৫ নভেম্বর ঢাকা-বরিশাল ও বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল আকস্মিক বন্ধ রাখবে মালিক পক্ষ।
উল্লেখ্য, ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমাবেশ করার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দলটি। সমাবেশের আগে পরিবহন মালিকদের বিবাদ দেখিয়ে ৪ ও ৫ নভেম্বর বাস এবং ইজিবাইক চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
বরিশাল গণসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার দলীয় লোকজন বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, নির্যাতন শুরু করেছে। পরিবহন একের পর এক বন্ধ করে দিচ্ছে যেন আমাদের গণসমাবেশ সফল করতে না পারি। কিন্তু আওয়ামী লীগের কোনো চেষ্টাই আমাদের গণসমাবেশ বানচাল করতে পারবে না। আমরা সকল বাধা উপেক্ষা করে সফল সমাবেশ সম্পন্ন করব।