
সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলার হয়েছে। সেখানে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায় নিজ গাড়িতে করে যাওয়ার সময় একটি মিছিল থেকে এ হামলা করা হয়। এ হামলায় কারা জড়িত, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ।
তবে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফকিরাপুল মোড়ে আমার ওপর হামলা করা হয় বিএনপির মিছিল থেকে। আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং দুর্বৃত্তরা আমাকে, গাড়ির ড্রাইভার ও গানম্যানকে কিল-ঘুষিসহ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফকিরাপুল মোড় থেকে নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় এই হামলা হয়েছে। আমরা তার গানম্যানের কাছ থেকে মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।’
হামলাকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে ওসি বলেন, ‘কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া কারা হামলা করছে, সেটাও জানা যায়নি।’
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের গাড়িতে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ বিকেলে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর বিএনপির সমাবেশ থেকে ন্যক্কারজনক হামলা করা হয়েছে। তিনি যখন গাড়িতে নয়াপল্টনের রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন, তখন বিএনপির সমাবেশ থেকে তার নাম ধরে আপত্তিকর স্লোগান দেওয়া হয় এবং তার ওপর শারীরিকভাবে হামলা করা হয়। একই সঙ্গে বিএনপির সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি ভাঙচুর করে এবং গাড়ির চালককেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।’
আরও বলা হয়, ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে আমরা বরেণ্য মানবাধিকার নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করছি। একই সঙ্গে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’
