মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মানুষের মনে কোন ভাবনাগুলো আসে? অনুতাপ? অনুশোচনা? নাকি সুন্দর একটি জীবনের জন্য সুখ ও কৃতজ্ঞতা? মৃত্যুর আগে আগে হয়তো মানুষ তার পুরো জীবনটাকে এক নজরে দেখতে পায়। কয়েক মুহূর্তের জন্য সে জীবনের দৃশ্যগুলো চোখের সামনে দেখতে পায়। জীবনের সমস্ত অর্জন ও ঘটনা সে তার চোখের সামনে দেখতে পায়। স্বল্প সময়ের এই জীবনে নিজেকে ভালো রাখার বিকল্প নেই। নিজেকে সুখী দেখতে চাইলে করতে হবে কিছু কাজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কৃতজ্ঞ থাকুন
জীবন যত কঠিনই মনে হোক না কেন, মাথার ওপর ছাদ ও পরার মতো পোশাক থাকলে, একটি আশ্রয় ও খাওয়ার মতো খাবার থাকলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলবেন না। জীবন আপনাকে অনেক অপ্রত্যাশিত মোড়ে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে, আঘাত এবং আতঙ্ক আসতে পারে, কিন্তু হতাশ হবেন না। ঠিক সেই সময়ে আপনি ভেবে দেখবেন জীবন আপনাকে ইতিবাচক অনেককিছুও দিয়েছে। সেজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন।
স্মৃতি ধরে রাখুন, সম্পদ নয়
এই মুহূর্তে মূল্যবান কিন্তু ভবিষ্যতে তা নাও মনে হতে পারে এমন কোনো জিনিস জমা করবেন না। বরং সেসব স্মৃতিই জমা করুন যেগুলো আপনাকে সুখী করবে এবং শেষ পর্যন্ত সঙ্গে থাকবে। প্রতিটি মুহূর্ত অনুভব করুন এবং প্রতিটি স্মৃতিকে বিশেষ ঘটনা হিসেবে মনে করুন। পরবর্তীতে সেসব স্মৃতি আপনাকে সুখী করবে।
প্রিয়জনের ভালোবাসাই সবকিছু
যখন কেউ তার প্রিয়জনকে হাসপাতালে দেখতে যায়, সঙ্গে করে তারা ভালোবাসা, স্বস্তি ও প্রশান্তিও নিয়ে আসে। তাই জীবনে সবচেয়ে দামী প্রাপ্তিগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রিয়জনের ভালোবাসা। আপনার বিশাল বাড়ি, গাড়ি, সম্পত্তি শেষ পর্যন্ত আপনার সঙ্গে যাবে না। কেবল প্রিয়জনের ভালোবাসাটুকুই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবে।
অন্যরা কী ভাবছে তা নিয়ে ভাববেন না
বেশিরভাগ মানুষই অন্যরা কী ভাবছে সেই ভয়ে সারা জীবন পার করে দেয়। এই ভয়কে উপেক্ষা করতে পারলেই জীবনে সুখী হওয়া সম্ভব। অন্যদের ভাবনা নিয়ে আপনি যদি চিন্তিত থাকেন তবে সেটিই বরং একটি চিন্তার বিষয়। মানুষের ভাবনা আপনি চাইলেও পরিবর্তন করতে পারবেন না। তাই নিজের কাজ করে যান। তারা কী ভাবছে তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
পরিবারকে সময় দিন
কাজ ও ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগী হওয়া অবশ্যই ভালো তবে এসবকিছু আপনার প্রিয়জনের চেয়ে দামি নয়। তাই সমস্ত ব্যস্ততা কাজের পেছনেই শেষ করবেন না। প্রিয়জনের জন্যও কিছু সময় রাখুন। একসঙ্গে ভালো কিছু সময় কাটান কারণ জীবনের সবকিছুই অনিশ্চিত।
নিজের চাওয়াকে প্রাধান্য দিন
নিজের আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণ করার জন্য জীবন খুবই ছোট। তাই নিজের কাজগুলো সম্পন্ন করুন। অন্যরা কী বলছে তা না শুনে বরং নিজের হৃদয়ের কথা শুনুন। হতে পারে তা ক্যারিয়ার বিষয়ক কিছু অথবা চাকরি পরিবর্তন করা, হতে পারে একা ঘুরতে চলে যাওয়া। আপনার মন কী বলছে? সেটিই করুন!