পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার নতুন রেলপথে পরীক্ষামূলক ‘ট্র্যাক কার’ চলবে। এই পুরো পথে আধুনিক রেললাইন বসে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো রেল চালিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকালে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা (সেকশন-২) অংশের স্টেশন ইনচার্জ অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন ১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় ভাঙ্গা পুরোনো স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক রেলটি ছেড়ে আসার কথা রয়েছে।
এদিকে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটারের মধ্যে চার কিলোমিটার পাথরবিহীন ও ২৮ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন বসে গেছে। এই রেললাইন ভাঙ্গার পুরোনো রেললাইনের সঙ্গে যুক্ত।
স্টেশন ইনচার্জ অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদ বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পদ্মা রেলওয়ে সেতুর জাজিরা প্রান্তে ট্র্যাক কারটি পৌঁছানোর কথা রয়েছে। কয়েক দিন আগে এই পথের কাজ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার চীনের তৈরি একটি গ্যাঙকার পরীক্ষামূলক চালানো হবে। কিছুটা ধীরগতিতে ট্র্যাক কার চালিয়ে দেখা হবে। প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে সেটি পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্টে (সংযোগ সেতু) পৌঁছাবে।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচলের টার্গেট রয়েছে আগামী জুনে। মাওয়া রেল স্টেশনের অগ্রগতি প্রায় ৮৫ শতাংশ ও জাজিরা প্রান্তের পদ্মা রেল স্টেশনের কাজের অগ্রগতি ৭৭ ভাগের বেশি। তবে রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেললিঙ্ক প্রকল্প শেষ হবে ২০২৪ সালে।