আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী এবং বিরোধী দলের নেতাদের অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। জাতীয় পার্টি বোধ হয় এখন সেই নির্যাতনের কথা ভুলেই গেছে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনে প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এবং সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমানের ওপর আনা শোক প্রস্তাবে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী জিয়াউর রহমানের অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগ কেন, বিরোধী দলের যারা আছেন; বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, জেনারেল এরশাদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু থেকে যারাই আছেন, তারাও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, সাজেদা চৌধুরী বা মতিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে জিয়াউর রহমান ডিভিশন না দিয়ে ফেলে রেখেছিলেন। খালেদা জিয়াও একই কাজ করেছিলেন। রওশন এরশাদ মাস্টার্স ডিগ্রি পাস। প্যানেল কোডে আছে মাস্টার ডিগ্রি পাস হলে ডিভিশন দিতে হয়। কিন্তু তাকে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে ফেলে রেখেছিল। আমরা তো তা-ও খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বলে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাকে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছি। তিনি কিন্তু সেটা করেননি। বিমান বাহিনীর প্রধান জামাল উদ্দিন, তাকে গ্রেপ্তার করে তার নামে একটা ঘড়ি চুরির মামলা দেওয়া হয়েছিল। এরপর কোনো ডিভিশন না দিয়ে মাত্র দুটি কম্বল দিয়ে তাকে জেলখানায় পাঠিয়েছিলেন। এভাবে তারা মানুষকে নির্যাতন করেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, জাতীয় পার্টি বোধ হয় এখন সেই নির্যাতনের কথা ভুলেই গেছে। অনেকে সেটা ভুলে গেছে। আওয়ামী লীগ তো সবার আগে নির্যাতিত। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, জেনারেল এরশাদ সবাই নির্যাতন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সাজেদা চৌধুরীর মতো অসংখ্য নিবেদিত নেতাকর্মীরা দলের হাল ধরেছিল বলেই আওয়ামী লীগ নীতি-আদর্শ হারায়নি। আশা করি আমাদের নেতারা, প্রয়াত নেতাদের আদর্শ অনুসরণ করেই সংগঠন করবে।