ঢাকা জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল রোববার (৩০ অক্টোবর)। নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাপোপা মাঠে এ কাউন্সিলের আয়োজন করা হয়েছে। কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে তাই এ আয়োজনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তবে নেতৃত্ব নির্বাচনে দায়িত্ব জেলার ১ হাজার ১০ জন কাউন্সিলর লিখিতভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করায় কমিটি গঠনে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা জেলার নেতারা জানান, কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জন্য দীর্ঘদিন তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে এলেও সুবিধাজনক স্থানে প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় স্বল্প পরিসরে তাদের এ আয়োজন। এর আগে তারা ১৫ মে কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। পরে তারা আরও একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও সম্ভব হয়নি। এবার প্রশাসনের অনুমতি মিললেও নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
সাভারের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবুকে সভাপতি ও খন্দকার আবু আশফাককে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট ৪৯ সদস্যের জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। মেয়াদ শেষের এক বছর পর ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ এ কমিটিকে ২৬৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ করা হয়। পরে কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলার ১০টি সাংগঠনিক ইউনিট কমিটি গঠন করেন নেতারা। এসব কমিটি গঠনে নানা অভিযোগ থাকলেও দীর্ঘদিন পর নতুন কমিটি গঠনের আয়োজন করায় সন্তুষ্ট তৃণমূল বিএনপি। এবার রাগ-অভিমান ভুলে সব পক্ষ কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জেলার নেতারা জানান।
জেলা বিএনপির শীর্ষ পদ পেতে ইতোমধ্যে জোর লবিং করছেন বর্তমান সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক এবং সাধারণ সম্পাদক পদে তমিজ উদ্দিন, খোরশেদ আলম, নাজিম উদ্দিন (ভিপি নাজিম), ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ। এই নামগুলোর বাইরে আরও আছেন নেতাকর্মীর মধ্যে আলোচনায় আছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।
এ ব্যাপারে খন্দকার আবু আশফাক বলেন, তিনি নিজে প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। তবে দলের হাইকমান্ড তাঁকে যেখানে দায়িত্ব দেবে, তিনি তা পালন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারবিরোধী আন্দোলনকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী জানান, তিনি নিজে প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের হাইকমান্ড তাঁকে যেখানে দায়িত্ব দেবে, সেখানে সানন্দে কাজ করবেন।