রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশস্থল কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে। গত তিনদিন ধরে আসা নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মাঠের অর্ধেকাংশ ভর্তি হয়ে যায়। অনেকে আবার সমাবেশস্থল ছাড়াও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছেন।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) ভোর থেকেই কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে নেতাকর্মীদের সমাগম হতে থাকে। পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠছে। দলীয় প্রতীক ধানের শীষ ছাড়াও ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সমাবেশস্থল।
সমাবেশে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও রংপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থক ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলীয় লোকজনের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। যাদের বেশির ভাগই ভোর হওয়ার আগে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছেন।
লালমনিরহাট থেকে আসা আরিফ হোসেন সময় সংবাদকে জানান, শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতে তিনি অটোরিকশায় রওনা দিয়েছেন। পথিমধ্যে অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়। তারপরও সব বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে রংপুরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট থেকে সাতমাথা মোড়ে নেতাকর্মীরা এসে অটোরিকশা থেকে নামছেন এবং সেখান থেকে হেঁটে রংপুর কালেক্টরেট মাঠের সমাবেশস্থলের দিকে যাচ্ছেন।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্থানে গুলিতে দলের নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদসহ দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় শহর রংপুরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি।
গণসমাবেশের প্রস্তুতির বিষয়ে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিভিন্ন বাধা, ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশস্থলে দলীয় নেতাকর্মীরা এসেছেন। কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে জনস্রোত নেমেছে।
এদিকে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে রংপুর পুলিশ প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমরা এই সমাবেশকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।’