শেষ বলের নাটকীয়তায় পাকিস্তানকে হারাল জিম্বাবুয়ে

Slider খেলা


শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ১১ রান। প্রথম দুই বলে ৭ রান নিয়ে এগিয়েও ছিল তারাই। কিন্তু পরে জিম্বাবুয়ের বোলার ব্রাড ইভান্সের ম্যাজিকের সাথে উইকেটকিপার রেজিস চাকাভার দৃঢ়তায় শেষ বলে নাটকীয়ভাবে ১ রানের জয় পায় জিম্বাবুয়ে।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত সময়ে ৮ উইকেটে ১২৯ রানেই থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ফলে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে প্রথম জয় পায় ডেভিড হটনের শিষ্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) পার্থে রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ভালো সূচনা করতে পারেননি। দলীয় ১৩ রানে বাবর আজম (৪) ফিরে যাওয়ার পর ২৩ রানে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও (১৪)। এরপর আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো ইফতেখার আহমেদও (৫) ফেরেন দলীয় ৩৬ রানে।

এরপর শান মাসুদ ও শাদাব খান দলের হাল ধরেন। এই দুই ব্যাটার দলের বিপর্যয়ে ৫২ রানের জুটি গড়েন। তবে শাদাব ১৭ রান করে ফিরলে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। পরের বলেই শূন্য রানে ফেরেন হায়দার আলী। এই দুজনকে ফেরান সিকান্দার রাজা।

তবে একা হাতে প্রতিরোধ করা শান মাসুদ সিকান্দার রাজার পরের ওভারে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৪৪ রান করে। পরে মোহাম্মদ নওয়াজ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম মিলে জয়ের আশা জাগালেও ম্যাচের শেষ বলের নাটকীয়তায় ১ রানের জয় পায় জিম্বাবুয়ে।

বোলিংয়ে সিকান্দার রাজার ৩ উইকেটের সাথে ব্রাড ইভান্সের শিকার ২টি। এছাড়া একটি করে উইকেট পান মুজারাবানি ও লুক জংউই।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। পঞ্চম ওভারেই দলীয় রান চল্লিশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল তারা। তবে হারিস রউফের ওই ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। তার আগে দুই বাউন্ডারিতে ১৯ রান করেন তিনি। এরপরই মূলত ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামে জিম্বাবুয়ের। পরের ওভারেই ফেরেন আরেক ওপেনার ওয়েসলি মাধভেরে (১৭)।

দুই উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায়। তবুও একা শন উইলিয়ামস প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। এই বাঁহাতি ব্যাটার ২৮ বলে করেন সর্বোচ্চ ৩১ রান। দলীয় ৯৫ রানের মাথায় চার উইকেট হারায় তারা। ফলে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল অল্পতেই অলআউট হয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শেষদিকে ব্রাড ইভান্সের ১৯ ও রায়ান বার্লের অপরাজিত ১০ রানে ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৩০ রানে।

পাকিস্তানের পক্ষে বোলিংয়ে মোহাম্মদ ওয়াসিম ২৪ রানে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া স্পিনার শাদাব খান ৩টি ও হারিস রউফ নেন ১ উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *