আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে সিত্রাং। থাইল্যান্ডের দেয়া এই নামের অর্থ ‘পাতা’।
শনিবার জাপানের হিমাওয়ারি স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে জানা যায় যে, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের লঘুচাপটি গত ২৪ ঘণ্টায় শক্তিশালী হয়েছে এবং সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সবগুলো প্রধান আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। এই সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
নিম্নচাপের প্রভাবে রোববার (২৩ অক্টোবর) থেকে বৃষ্টি শুরু হবে, যা ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ২৩ অক্টোবর থেকে সাগর অত্যন্ত উত্তাল হবে।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে আগামী ২৫ অক্টোবর শুক্রবার আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। সূর্যগ্রহণ শুরু হবে দুপুর ২টা ৫৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে, সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে এবং শেষ হবে সন্ধ্যা ৭টা ২ মিনিট ১২ সেকেন্ডে। কার্তিকের ভরা অমাবস্যায় আংশিক সূর্যগ্রহনের মাঝে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় জেলাগুলোতে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সাধনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একইসাথে নৌকা ও ট্রলারগুলোকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
সূত্র : পার্সটুডে