বালিশ-কাঁথা, চাদর, চাটাই নিয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পরই পরই নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয় জমায়েত হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে রাত ১০টার দিকে আসেন সমাবেশস্থলে। এরপর সেখানে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে খুলনায় পৌঁছেছেন। দিবাগত রাত ২টার দিকে সোনালী ব্যাংক চত্বরের সমাবেশস্থল এবং আশপাশের সড়কে দেখা যায়, কাঁথা-বালিশ, চাঁদর, গামছা, পলিথিন পেতে সারিবদ্ধভাবে শুয়ে-বসে আছেন জেলা-উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা। কেউ কেউ গল্প করছেন দলবেঁধে। কেউ আবার রাতের খাবার সেরে নিচ্ছেন। কাউকে কাউকে খিচুড়ি ও শুকনো খাবার খেতে দেখা গেছে।
সমাবেশকে ঘিরে খুলনায় চলছে দুই দিনের বাস-লঞ্চ ধর্মঘট। ফলে অনেকটা বিপাকেই পড়েন সমাবেশে অংশ নিতে ইচ্ছুক অন্যান্য জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা। বাস-লঞ্চ বন্ধ থাকায় যে যেভাবে পারছেন আসছেন। নেতাকর্মীদের অনেকে ট্রেনে, ট্রলারে, ইজিবাইক ভ্যানে করে এসেছেন এবং আসছেন।
সবকিছু ছাপিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের অনেকের মধ্যে চাপা উত্তেজনা দেখা গেছে। কারণ এই সমাবেশকে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই মনে করছেন তারা।
তালা থেকে আসা ছাত্রদলের কর্মী জিসান আহমেদ আহনাফ গতকাল বলেন, বাধা উপেক্ষা করে খুলনায় এসেছি। চারটি পিকআপে করে আমরা পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এসেছি। এরপর হেঁটে সমাবেশস্থলে রাত ১১টায় পৌঁছেছি। রাতে এখানেই অবস্থান করব। সমাবেশ শেষ করে বাড়ি ফিরব।