মালয়েশিয়া: অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় আসা ১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে। এ নিয়ে কোনো ধরনের সময়ক্ষেপণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী ড. ওয়ান জুনাইদি তুয়াঙ্কু জাফর।
বুধবার (২০ মে) স্থানীয় সময় মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টের লবিতে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ওয়ান জুনাইদি তুয়াঙ্কু জাফর বলেন, গত ১১ মে বাংলাদেশি ওইসব অভিবাসী লাঙ্কাবি দ্বীপে ওঠেন। শরণার্থীবিষয়ক কাগজপত্র চূড়ান্ত করার পরই তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।
মালয়েশিয়া বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় আসা অবৈধ বাংলাদেশিদের সঙ্গে আরও ৪শ’ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। তাদেরকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ইউএনএইচসিআরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আর অবৈধ বাংলাদেশিদের কাগজপত্র সম্পন্ন হওয়া মাত্রই তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
সম্প্রতি দেশটির পত্র-পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু সহ ১৪শ’ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা বোটে করে লাঙ্কাবি দ্বীপে পৌঁছান। ড. ওয়ান জুনাইদি তুয়াঙ্কু জাফর রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুকে মিয়ানমারের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করেন। এ বিষয়টির সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
উপমন্ত্রী বলেন, অবৈধ প্রবেশের দায় নিতে পারে না মালয়েশিয়া। ওই দেশে চাকরির জন্য লাখ লাখ অবৈধ শ্রমিকের সমস্যা মোকাবিলা করছি। এতে স্থানীয় সামাজিক জীবনে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। চাকরি ক্ষেত্রে স্থানীয়রাও সমস্যায় ভুগছেন। অনেক ক্ষেত্রে এসব অবৈধ মানুষ বহন করে আনছে নানা রোগ ব্যাধি। এই রোড় বালাই ছড়াচ্ছে আমাদের দেশে।
তিনি বলেন, অবৈধ প্রবেশকারীদের স্বাগত জানাবে না মালয়েশিয়া। আর রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা সেটাতো মিয়ানমারের সমস্যা।
এ বিষয়ে মালয়েশিয়া লেবার কনস্যুলার সাইদুল ইসলাম মুকুল বাংলানিউজকে বলেন, লাঙ্কাবি আটক বাংলাদেশি শ্রমিকদের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য আমি ছুটে গিয়েছি। সেখানে আমাদের বাংলাদেশি শ্রমিকদের কোনো প্রকার যেন নির্যাতন না করা হয় বাংলাদেশ হাইকমিশন তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। তারা ও আমাদের কে আশ্বাস দিয়েছেন। কোনো প্রকার হয়রানি করা হবে না। বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা জেনেছি আমাদের শ্রমিকদের খুব শিগগিরই দেশে পাঠানো হবে।