টোল আদায়কে কেন্দ্র করে সিলেটের বিশ্বনাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার রাত ৯টায় উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের লামাকাজী বাজার পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। টোল আদায়কে কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়নের মির্জারগাঁও এবং পাঁচগাঁও (সাঙ্গিরাই, দোকানিপাড়া, কাজিরগাঁও, কেশবপুর ও মোল্লারগাঁও) গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ ঘটনায় সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইটপাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধশত মানুষ। আহতদের মধ্যে রাজাপুর গ্রামের নজির মিয়া (২১), কেশবপুর গ্রামের ফয়ছল আহমদ (২২), একেএম দুলাল (৪৫), দোকানীপাড়া গ্রামের আবদুল হক (৪০), সাঙ্গিরাই গ্রামের শাকরান মিয়া (১৯) ও কাজিরগাঁও গ্রামের শায়েস্তা মিয়া (৩৫) অবস্থা কিছুটা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাতে সিলেটের জালালাবাদ থানার জাঙ্গাইল গ্রামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক লামাকাজী ব্রিজের টোল ফাঁকি দিয়ে চলে যেতে চাইলে তাকে থামিয়ে টোল আদায় করেন দায়িত্বরতরা। এ সময় ওই চালকের সঙ্গে টোল আদায়কারী লোকদের ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে চালকের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় মির্জারগাঁও গ্রামবাসী এবং টোল আদায়কারীদের পক্ষ নিয়ে পাঁচগাঁও (সাঙ্গিরাই, দোকানীপাড়া, কাজিরগাঁও, কেশবপুর ও মোল্লারগাঁও) গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় ভাংচুর করা হয় শতাধিক দোকানপাট ও ২০টি যানবাহন। এ সময় সিলেট-সুনামগঞ্জ ও লামাকাজী-বিশ্বনাথ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে সেখানে ইটপাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত হন থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান। পরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার পুলিশ দল ও দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে সহায়তা করে।
বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।’