গোপালগঞ্জ সদরে গতকাল মঙ্গলবার অবসরপ্রাপ্ত এক সেনাসদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একই দিনে জেলার কাশিয়ানী উপজেলা থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির (৪০) গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য হলেন লাহু মোল্লা ওরফে লাক্কু মোল্লা (৬৩)। এ ঘটনায় লাক্কুর বড় ভাই মাক্কু মোল্লাও (৬৫) আহত হন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়নের শশাবাড়িয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাক্কু মোল্লার সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য খোকন মোল্লার বিরোধ চলছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাক্কু মোল্লা জানান, ভোর আনুমানিক চারটার দিকে খোকন মোল্লার নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। তারা এলোপাতাড়িভাবে তাঁর (মাক্কু) ছোট ভাই লাক্কুকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় পাশের ঘর থেকে তিনি (মাক্কু) বের হয়ে ভাইকে রক্ষার চেষ্টা করলে তাঁকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে এলাকাবাসী আহত দুই ভাইকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাক্কু ভোর সাড়ে চারটার দিকে মারা যান। হাসপাতাল থেকে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লাক্কু মোল্লার মৃত্যুর খবরে শশাবাড়িয়া গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তিনটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন মোল্লা জানান, পুলিশ চারজন নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা ইউনিয়নের পিয়াজকান্দি বিলের পানির মধ্যে থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এলাকার কয়েকজন জানান, ইরি ধানের জমিতে কাজ করতে গিয়ে একটি গলিত লাশ দেখে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। লাশের পরনে একটি লুঙ্গি ছিল।
লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে কাশিয়ানী থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।