ব্রুনাই দারুস সালামের সুলতান হাজি হাসান আল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় (বাংলাদেশ সময়) সুলতানকে বহনকারী একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ব্রুনাইয়ের সুলতানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজকীয় পরিবারের সদস্য, সে দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং ব্রুনাই সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্রুনাইয়ের সুলতানের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে। সেখান থেকে একটি সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নিয়ে যাওয়া হবে।
পরে ব্রুনাইয়ের সুলতান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সুলতান সেখানে একটি গাছের চারা রোপন এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো: জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, সাভার থেকে সুলতানকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হবে। ঢাকায় সফরকালে সুলতান এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।
একইদিন বিকালে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন হোটেলের সভা কক্ষে তার সাথে সাক্ষাৎ করবেন। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের সাথে বৈঠক করবেন ব্রুনাইয়ের সুলতান। পরে ব্রুনাইয়ের সুলতান বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
রাষ্ট্রপ্রধান সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে সুলতানের সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
১৬ অক্টোবর সকাল সোয়া ১০টায় সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি সেখানে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
জাদুঘর প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা সুলতানকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
সকাল ১১টা ৫ মিনিটে ব্রুনাইয়ের সুলতান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার তেজগাঁও কার্যালয়ের (পিএমও) শিমুল হলে একান্ত বৈঠক করবেন।
পরে পিএমও’র চামেলি হলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বঙ্গভবনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সুলতানের তিন দিনের সফর বিশেষ গুরত্বপূর্ণ। কারণ অন্যান্য কর্মসূচির সাথে করোবীতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
সুলতানের সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল, বাংলাদেশী জনশক্তি নিয়োগ এবং দুদেশের নাবিকদের সনদ দেয়াসহ পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। সুলতান সেখানে দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করবেন।
সুলতান ১৭ অক্টোবর ঢাকা ত্যাগ করবেন। ঢাকা ত্যাগের আগে বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনাইয়ের সুলতান ও তার সফর সঙ্গীদের বিদায় জানাবেন।