পাঁচ নারীকে নগ্ন করে জনসমক্ষে বেত্রাঘাত

সারাবিশ্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করা হল পাঁচ নারীকে। দলিত এই পাঁচ নারীকে নগ্ন করে জনসমক্ষে ঘোরোনো হয়। তারপর গোটা গ্রামের সামনে তাদের নগ্ন করে চালানো হয় বেত্রাঘাত। ভারতের উত্তরপ্রদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।

 

খবরে বলা হয়, উত্তরপ্রদেশে আজও জাতপাতের লড়াই আর নিচু জাতের ওপর অত্যাচার কোনও বিরল ঘটনা নয়। কিন্তু শাহজানপুর জেলার জালালাবাদের কাছে একটি গ্রামে রোববার যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই নির্যাতন ছিল শিউরে ওঠার মতো।

 

অভিযোগ, ওই গ্রামের পাঁচজন দলিত নারীকে তাদের চেয়ে তুলনায় উঁচু জাতের কাশ্যপ সমাজের কিছু নারীপুরুষ সেদিন তাদের ওপর চড়াও হয়। তারপর তাদের কাপড়-চোপড় খুলে নিয়ে রাস্তা দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়। মারা হয় বেতের বাড়িও। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে এই নির্যাতন। তাদের অপরাধ, দলিত সমাজের একটি ছেলে কাশ্যপদের একটি নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।

 

ওই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশা রাম বিবিসিকে বলেন, ‘ওই মেয়েটির মা এবং অন্য আত্মীয়রা এসে ছেলেটির মা-নানি-চাচিদের ওপর হামলা চালান। তাদের মারধর করা হয়, শাড়ি ও কাপড়-চোপড় খুলে নেওয়া হয়। তারা বলতে থাকেন, আমাদের সম্মান যারা নষ্ট করেছে তাদের আবার ঘোমটা কীসের, তাদেরকেও আমরা ইজ্জত রাখতে দেব না।’

 

তবে, ‘পুরো নগ্ন করে ঘোরানোর কথাটা ঠিক নয়। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই মহিলাদের পরনে পেটিকোট ও ব্লাউজ ছিল’ জানান তিনি।

 

পুলিশের এই বক্তব্যের সঙ্গে অবশ্য পুরো একমত নন শাহজাহানপুরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কৃষ্ণা রাজ। বিজেপির এই মহিলা এমপি বিবিসিকে জানান, তারা ঘটনার তদন্তে যে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিলেন তারা এসে রিপোর্ট দিয়েছেন দলিত নারীদের অবশ্যই নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছিল।

 

জেলা পুলিশ অবশ্য দাবি করেছেন, দলিতদের বেইজ্জতি করার জন্য কাশ্যপ সমাজের মোট দশজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও তিনজন নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও তিনজন ফেরার নারীকে ধরার জন্য বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *