ট্রাক চাপায় নয় ঝিনাইদহের ভেটেরিনারি কলেজের ভিপিসহ তিন ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতদের স্বজন ও বেঁচে যাওয়া দুজনের অভিযোগ হত্যাকাণ্ডকে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের এক নেতা ও তার অনুসারীরা। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে প্রধান আসামিসহ জেলা ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে।
ছেলের মৃত্যুর খবর যেন পাহাড় সমান কষ্ট বাবা-মার কাছে। স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ স্ত্রী। শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহের সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি সাইদুজ্জামান মুরাদ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান বলে খবর আসে। তার পরিবারের অভিযোগ কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে মুরাদকে।
পরিবারের সদস্যরা বলেন, এটা রোড অ্যাক্সিডেন্ট মিথ্যা কথা। এর প্রমাণের জন্য দুইজন ভেটেনারী কলেজের ছাত্র ঝিনাইদহ হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদেরকেও কোপানো হয়েছে। তারা সত্য ঘটনা জবানবন্দী দিয়েছে।
সেদিন মুরাদের সঙ্গে প্রাণ গেছে সাধারণ শিক্ষার্থী তৌহিদ ও শমরেসের। আর প্রাণে বেঁচে যায় সজিবসহ আরও একজন। তারা জানান, জেলা ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম ও তার সমর্থকরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসারত দুইজন বলেন, ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে আসার সময় তিন চারটা মোটরসাইকেল একই সঙ্গে এসে পেছন থেকে হঠাৎ করে রামদা বের করে কোপ দিয়েছে। আমি বাঁচার জন্য পুকুরে লাফ দিয়েছিলাম পরে ওরাও পুকুরে লাফ দিয়েছে আমাকে মারার জন্য। মুরাদ ভাইরা যখন এগিয়ে চলে যায় তখন মুরাদ ভাইকে মারার জন্য ঐ গাড়ি ফলো করে কোপ দিতে থাকে। ওই সময় আর কন্ট্রোল করতে পারেনি। না করতে পেরে গাড়ির সঙ্গে হয়ত ধাক্কা খেয়েছে।
এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশ জানায়, ময়না তদন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. সোহেল রানা বলেন, প্রাথমিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনাই মনে হয়েছে। তারপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে আমরা বিষয়টা ক্লিয়ারভাবে বুঝতে পারব।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে ডিগ্রী বাতিলের দাবিতে আন্দোলন নিয়ে কলেজের জিএস সজীব ও জেলা ছাত্রলীগ সহ সভাপতির ফাহিমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। নিহতরা ছিলেন সজীবের সমর্থক।