দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে কক্সবাজারে। বিভিন্ন আবাসিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজ শতভাগ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। তবে যারা অগ্রিম বুকিং দেননি, তারা পড়েছেন বিপাকে। বর্তমানে চড়া দামেও পাওয়া যাচ্ছে না হোটেল-মোটেলের রুম। তাই অনেককেই সড়কের ফুটপাত, সৈকত বা যাত্রীবাহী বাসে রাত কাটাতে হচ্ছে।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
লক্ষ্মীপুর থেকে আসা শাওন নামে এক পর্যটক জানান, শুক্রবার সকালে কক্সবাজার নেমেছি। অগ্রিম বুকিং ছিল না। সারাদিন অনেকগুলো হোটেল খুঁজেও রুম পাইনি। এখন কী করব, বুঝতে পারছি না।
হবিগঞ্জ থেকে এসেছেন ফরিদুল ইসলাম। এই পর্যটক বলেন, ছুটি পেয়ে এবারই প্রথম কক্সবাজার এসেছি। কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ঢাকার মতো ভিড়। প্রথম দিন ১৫শ’ টাকার রুম তিন হাজার দিয়ে নিয়েছি।
এ বিষয়ে কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, আমাদের অনেক হোটেলে এখনও রুম খালি আছে। সায়মন ও ওশান প্যারাডাইসসহ তারকা মানের হোটেলে খুঁজলে তো আর কেউ রুম পাবে না।
মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের হোটেলগুলো শতভাগ বুক হয়ে গেছে। অনেক পর্যটক রুমের জন্য এসে ঘুরে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই বাস কাউন্টারের বারান্দায় রাত্রি যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুজ্জামান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ মোবাইল টিম কাজ করছে।