বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে অপসারণ করতে আল্টিমেটাম দিয়েছে ‘মায়ের কান্না’ নামে একটি সংগঠন।
রোববার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেয় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমানবাহিনীর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত, চাকরিচ্যুত এবং ফাঁসি দেওয়া পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের নেতারা বলেন, জিয়াউর রহমানের কবর আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সংসদ এলাকা থেকে অপসারণ না করলে ১ ডিসেম্বরে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের সদস্যরা জিয়ার কবর অপসারণের প্রাথমিক কাজ শুরু করবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফাঁসি হওয়া বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট আবুল বাশার খানের মেয়ে বিলকিস বেগম।
এ সময় সংগঠনটি ৫ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হলো
ফাঁসি হওয়া সদস্যদের কোথায় সমাহিত করা হয়েছে, রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই স্থান চিহ্নিত করে দিতে হবে।
অন্যায়ভাবে ফাঁসি হওয়া সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করা এবং শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
নিহত সদস্যদের নিজ নিজ পদে সর্বোচ্চ র্যাংকে পদোন্নতি দেখিয়ে বর্তমান স্কেলে বেতন-ভাতা, পেনশনসহ পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসন ও সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করতে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
জিয়াউর রহমানের কবর জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায়, আগামী ১ ডিসেম্বর মায়ের কান্না সংগঠনের সদস্যরা কবর অপসারণের প্রাথমিক কাজ শুরু করবে।