ভারতের সময় সোমবার রাত আটটা ২০ মিনিটে শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে আসেন সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপি’র সহ- দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনিসহ কয়েক জন ছিলেন। হাসপাতালে এসেই তারা পুলিশের অনুমতি কক্ষে যান। এরপর ইউটিপি সেলে যান। হাসিনা আহমেদ সালাহউদ্দিনের প্রিজন সেলের সামনে গিয়েই তাকে জিজ্ঞাসা করেন আপনি কেমন আছেন? প্রতি উত্তরে সালাহউদ্দিন কিছু বলার আগেই তার চোখ ছল ছল করে উঠে। নিজের আবেগ সামলানোর চেষ্টা করেন। তবুও কষ্ট করে বলে উঠেন, আমি আছি মোটামুটি। বাচ্চারা ভাল আছে। এ সময় স্বামী- স্ত্রী হাত ধরাধরি করে কেদে উঠেন। প্রায় দুমিনিট ধরে তাদের কান্নাকাটি চলে। এ সময় কিছুটা দূরে দাড়িয়ে থাকা বিএনপি’র সহ- দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, ভাতিজা আ. করিম, জাপান প্রবাসী ক্যাপ্টেন রবিন কে জামান ও ভাগ্নের চোখও ছল ছল করে উঠে। পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হলে সালাহউদ্দিন বাচ্চারা কেমন আছে তা জানতে চান। হাসিনা আহমেদ এ সময় বাচ্চাদের পড়াশোনার বিষয়ে বলেন। মামলার পদক্ষেপ কিভাবে নেয়া যায় ওই বিষয়ে গাইড লাইন দেন । স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা শেষে ভায়রার হাত ধরে আবেগতাড়িত হন সালাহউদ্দিন। বলেন, বিপদের সময় আপনি আমার সন্তানদের আগলে রেখেছেন। এ ঋণ আমি কখনো ভূলবো না। এসব কথা বলার সময়েই পুলিশের কর্মকর্তারা বেরিয়ে যাওয়ার জন্য তাড়া দিতে থাকেন। কারণ নির্ধারিত ১০ মিনিটের সময়সীমা তখন শেষ হয়ে যায়। হাসিনা আহমেদ সালাহউদ্দিনকে বলেন, কাল আবার আসবো ওই সময় আলাপ করা যাবে। এভাবেই হাসিনা আহমেদ বাইরে বেরিয়ে আসেন। সঙ্গে ছিলেন তার শুভানুধ্যায়ীরা।