ড. বেনজীর আহমেদ অবসরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর আগে তিনি র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
এর আগে, ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে নিয়োগ দেন।
আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল র্যাবের ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পান। তারও আগে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শ্রীহেলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আল-মামুন। ১৯৮৯ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।২০১৯ সালের মে মাসে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। পুলিশে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একবার ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক’ (বিপিএম) ও ‘প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক’ (পিপিএম) পেয়েছেন। এ ছাড়া গতবছরের ১৮ অক্টোবর চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
কর্মজীবনে আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশ সদরদপ্তর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিভিন্ন জেলার গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়া জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করার মাধ্যমে তিনি বিশ্ব শান্তিরক্ষার জন্য উজ্জ্বল অবদান রেখেছেন। অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন তিনি।
এর আগে, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর সার্কেল এএসপি, সিরাজগঞ্জের রাইগনজ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের অতিরিক্ত এসপি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিএমপি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এএসপি, এডিসি (ডিএমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া নীলফামারী জেলার সুপারিনটেনডেন্ট পুলিশ (ডিপি), ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (ডিসি), এআইজি (এস্টাবলিশমেন্ট) এবং ঢাকা সদর দপ্তরের এআইজি (গোপনীয়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও ডিআইজি হন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।