রাজধানীর হাজারীবাগে সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ সোমবার হাজারীবাগ ও ঢাকার ১৬টি স্থানে জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দলের চার নেতাকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির এই সমাবেশ হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেলা পৌনে ২টার দিকে হাজারীবাগের টালি অফিস রোডে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা লাঠি হাতে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে যাচ্ছিল। পথে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা তাদের বাধা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাঁধে।
তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে উভয়পক্ষ দুইদিকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে টালি অফিস রোডের মোড়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকরা লাঠি হাতে অবস্থান নেয়। পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রেখেছে।
এদিকে শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঠিক উল্টো দিকে বেড়িবাঁধের পাশে ছোট একটি মাঠে বিএনপির সমাবেশ চলছে। সমাবেশে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী লাঠি ও জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল নিয়ে জড়ো হয়েছে।
ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এহসানুল ফেরদৌস বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশে লাঠির দরকার নেই। লাঠি থাকলে শান্তি বিনষ্ট হতে পারে। সে জন্য আমরা সমাবেশে আসা লোকজনকে লাঠি সরিয়ে ফেলতে বলেছি।’
সূত্র জানায়, রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিএনপির সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দলটির পূর্বঘোষিত সমাবেশস্থলে পাল্টা কর্মসূচি দেয় যুবলীগ। এতে বাধা পড়ে বিএনপির কর্মসূচির। তাই দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন হাজারীবাগে।
বিএনপির এ সমাবেশে উপস্থিত আছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি নেতা রফিকুল আলম মজনু, রবিউল ইসলাম রবি, কেএম জোবায়ের এজাজ, আরিফা সুলতানা রুমা, যুবদলের গোলাম মাওলা শাহীনসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।