পঞ্চগড়ের বোদার করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবে প্রাণহানির পেছনে অতিরিক্ত যাত্রী বহনকে দায়ী করেছেন জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়। আজ সোমবার সকালে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তদন্ত কাজ পরিচালনা করতে এসে প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দীপঙ্কর রায় বলেন, ‘আমরা গতকাল থেকেই তদন্ত কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণে নৌকাটি ডুবে গেছে। তবে অন্য অনেক কারণও থাকতে পারে। আমরা এখনো তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, আজকের মধ্যেই তদন্ত শেষ করে আগামীকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’
অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ মোকাবিলায় ঘাট ব্যবস্থাপনায় ইজারাদারের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কিনা, এমন প্রশ্নে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, ‘আমরা ইজারাদারকে খুঁজে পাচ্ছি না। সম্ভবত তিনি পলাতক। সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত কাজ করা হচ্ছে। তবে যাত্রীদের অসচেতনতার কারণে এমন দুর্ঘটনা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে আমাদের কাছে মনে হয়েছে।’
এদিকে, নৌকাডুবির ঘটনায় সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত গত দুদিনে ১৬ নারী ও ১০ শিশুসহ ৩২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সব মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের সৎকারে মাথাপিছু ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এ ঘটনায় এখনো কমপক্ষে ৫৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। নিখোঁজদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের তিনটি ইউনিট দ্বিতীয়দিনের মতো করতোয়া নদীতে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।