মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শাওনের বাবা ও ছোট ভাইয়ের সাথে স্কাইপিতে কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় তিনি পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার পাশাপাশি তাদের দায়িত্ব নেয়ার কথা জানান। বর্তমান সরকারের অন্যায়, অত্যাচারের বিষয় তুলে তিনি বলেন, ‘দেশে সুদিন আসলে আপনাদের সবাইকে পুনর্বাসন করা হবে।’
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত স্কাইপে শাওনের বাবা ছোয়াব আলী ভূঁইয়া নিজের বড় সন্তানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে কেঁদে উঠেন।
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ হাসপাতালে তার সন্তানের চিকিৎসা হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও প্রশাসনের বাঁধার কারণে এক ঘণ্টার মতো বিনা চিকিৎসায় ছিল শাওন। পরে বিএনপি নেতাদের প্রচেষ্টায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময়ে তিনি তার পরিবারের নানান সমস্যার বিষয়ও সামনে আনেন।
তিনি বলেন, দেশের জন্য তার ছেলে শহীদ হয়েছেন। এজন্য তিনি গর্ববোধ করছেন। তারেক রহমান নিহত শাওনের রেখে যাওয়া শিশু সন্তান ও তার স্ত্রীর খোঁজ-খবর নেন এবং যতদিন শাওনের সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক না হবে ততদিন তার লেখাপড়াসহ সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শাওনের ছোট ভাই সোহানও তারেক রহমানের সাথে কথা বলেন। নিজের বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে তিনিও কাঁদেন।
এ সময়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, সহ-সভাপতি (দফতরের দায়িত্বে) কামরুজ্জামান দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল ও দক্ষিণের সদস্য সচিব খন্দকার এনামুল হক এনাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া গত বুধবার জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং নারায়ণগঞ্জ ও ভোলার তিন নেতা হত্যার বিচারের দাবিতে মুন্সীগঞ্জের প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে নিহত মিরকাদিম পৌর শাখা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাওন মৃত্যুবরণ করেন।