মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে পুলিশ-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩০ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ উল ইসলামও রয়েছেন। আজ বুধবার বিকেল ৩টার পর এই সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ৪০-৫০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলে।
স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে মুক্তারপুর এলাকায় জড়ো হতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হঠাৎ করে তিন দিক থেকে লাঠিসোটা ও দেশিও অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির কর্মীরা। পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা টিয়ার শেল ও রাভার বুলেট নিক্ষেপ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। দীর্ঘ পৌনে একঘণ্টা চলা এই সংর্ঘষে কমপক্ষে ৩০ পুলিশ সদস্য, দুই সাংবাদিক ও পথচারীসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম, সদর থানার তারিকুজ্জামান, এসআই মাইনউদ্দিন, এসআই সুকান্ত, এসআই আমিনুল, এসআই অজিদ, সমকালের সাংবাদিক কাজী দিপু, দিনকালের সাংবাদিক গোলজার হোসেনসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পুলিশ তাদের মিছিল করতে মানা করলে অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় ৩০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আহতদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বিএনপির নেতাকর্মীরা দাবি করছেন তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। যাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।