শক্তিশালী হয়ে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত পুয়ের্তো রিকোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ‘ফিওনা’। এর প্রভাবে ‘জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ বন্যা এবং ভূমিধস’ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার-এনএইচসি।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শক্তিশালী এ ঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ফরাসি ক্যারিবিয়ান দ্বীপ গুয়াডেলুপের বাসে-টেরে জেলায় একটি বাড়ি ভেসে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
এনএইচসির তথ্য অনুসারে, শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত ঝড়টি সেন্ট ক্রোইক্সের প্রায় ৭৫ মাইল (১২০ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পূর্বে এবং পুয়ের্তো রিকোর প্রায় ১৪৫ মাইল (২৩৫ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। পুয়ের্তো রিকোর কাছাকাছি যাওয়ায় আগে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এটি হারিকেন হয়ে ওঠার শঙ্কা রয়েছে।
কোনো ঝড়কে ক্যাটাগরি-১ হারিকেন হিসেবে বিবেচনা করা হয় যখন এর স্থায়ী বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৪ মাইল বা তার বেশি হয়।
ফিওনা’র প্রভাবে পুয়ের্তো রিকোয় ২০ ইঞ্চি (৫১ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত, বন্যা, ভূমিধস এবং বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে এনএইচসি।
এদিকে জাপানে আঘাত হানতে যাচ্ছে সুপার টাইফুন ‘নানমাদোল’। এর আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে এরই মধ্যে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।
ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) কিউশু দ্বীপের কাগোশিমা অঞ্চল দিয়ে ভূখণ্ডে উঠে আসতে পারে। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত। প্রচণ্ড ঝড়ের সঙ্গে ভারি এবং অতি ভারি বর্ষণের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৫০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে দেখা দিতে পারে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধস।
দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, জাপানের সর্বদক্ষিণের দ্বীপ কিশুদার ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যাঞ্চল পেরিয়ে রাজধানী টোকিওর দিকে যাবে। এরই মধ্যে কিউশু দ্বীপে ট্রেন ও বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।