‘ডিম আমদানি করার বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে আছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়’ এমন মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কৃষি মন্ত্রণালয় পজিটিভ হলে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরে আলোচনার মাধ্যমে ডিমের দাম নির্ধারণ করা হবে। দাম কম হওয়ায়, ভারত থেকে ডিম আমদানির পক্ষে আমি। এতে কম মূল্যে ভোক্তাদের দেওয়া যাবে বলে জানান তিনি। তবে কৃষকদের স্বার্থের বিষয়টিও দেখা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ‘মিট দ্য ওকাব উইথ টিপু মুনশি’ শীর্ষক এক আলোচনায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ওকাব)।
এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমাদের আমদানিতে চীন-ভারতের ওপর নির্ভরতা আছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আমরা চীন থেকে কিছুটা সরে আসছি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি তৈরি না হওয়ার কারণে এই নির্ভরশীলতা থাকবে। বৈশ্বিক চাওয়া ম্যান মেইড ফাইবার আমাদের দেশে নেই। তাই বিদেশ থেকে আনছি। তবে সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
রোহিঙ্গারা যে যাবে না, তা এখন বোঝা যাচ্ছে। প্রথমে তাদের মানবিক কারণে জায়গা দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার মাধ্যমেই মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ফের স্বাভাবিক হতে পারে। তবে মিয়ানমারে কিছু গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ায় আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ থাকলেও তা আমাদের বাণিজ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না। গতবারের তুলনায় এবার ২০ শতাংশ বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এক পরিসংখ্যান জানান মন্ত্রী।
ডলারের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে স্বীকার করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমরা চাই রেডিমেড গার্মেন্টস তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক। পাশাপাশি আইসিটি ও চামড়া খাতে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ১০টি আইটেমের উৎপাদন বাড়াতে পারলে আমাদের রপ্তানি আয় বাড়বে।
অনুষ্ঠানে কাদির কল্লোলের সঞ্চালনায় ওকাবের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মিঠুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।