গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে নাগরিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার উদ্বোধনের সময় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি, মোশাররফ হোসেন, পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুর রহমান, ইমরান হোসেন ও রুবেল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পৌঁছালে তাকে উদ্বোধন মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার হাতে বেশ কিছু বেলুন দেয়া হয় উড়িয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু বার বার চেষ্টা করেও সেই বেলুন উড়াতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেই বেলুনগুলি মঞ্চের পাশে নিয়ে যান এবং স্বরাষ্ট্রামন্ত্রী পুলিশ লাইনেই মূলমঞ্চে চলে যান। তিনি মঞ্চে চলে যাওয়ার কিছু সময় পর কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অন্যরা বেলুনে আগুন লাগিয়ে উড়ানোর চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশে বসে থাকা কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে আশপাশের পুলিশ সদস্যরা তাদের গায়ে পানি ঢেলে আগুন নেভান এবং গাড়িতে করে দ্রুত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবু হেনা রনি, মোশাররফ হোসেন ও জিল্লুর রহমানকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার আবু সায়েম নয়ন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তারা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত আছেন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, রনির শরীরের ২৪ শতাংশ ও জিল্লুর রহমানের আনুমানিক ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক না হলেও দগ্ধের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এজন্য তাদের ভর্তি করে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।