বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম কোনার পাড়া সীমান্তে মিয়ানমারের ছোড়া ৪টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন।
এবার সীমান্তে মিয়ানমারের ৪ মর্টার শেল নিক্ষেপ, নিহত ১
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে আরও ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
শূন্য রেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা দিল মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যার পর থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি, মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রাত ৮টার দিকে শূন্য রেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে এসে পড়ে ৩টি মর্টার শেল। ক্যাম্পের নিটকবর্তী এলাকায় এসে পড়ে আরও ১টি মর্টার শেল।
৪টি মর্টার শেল বিস্ফোরণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।
অপর রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ আরিফ জানান, আহতদের মধ্যে ৪ জনকে উদ্ধার করে কুতুপালংস্থ এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজিবি, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এরআগে এদিন দুপুরের দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এক বাংলাদেশি নাগরিক আহত হন।
তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার ৩৫নং পিলারের ৩০০ মিটার মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অন্নথাইং তঞ্চঙ্গ্যা ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার দুপুরে ওই যুবক গরু চোরাচালানের উদ্দেশ্যে তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় ৩৫নং পিলারের কাছাকাছি কাঁটাতার পেরিয়ে মিয়ানমার সীমান্তের ৩০০ মিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে দেশটির সেনাবাহিনী-বিজিপির পুঁতে রাখা ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ পা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, তুমব্রু এলাকার ৩৫নং পিলারের মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতার পেরুনোর সময় অন্নথাইং তঞ্চঙ্গ্যা নামে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।