অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হ্যাটট্রিকে ভুটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে কে সেটা নিশ্চিত হবে আজ সন্ধ্যার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে, সেখানে মুখোমুখি হবে ভারত ও নেপাল। ২০১৬ সালে ভারতের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাফের ফাইনাল খেলেছিল।
ভুটান এবারই প্রথম সাফের নারী ফুটবলের সেমিফাইনাল খেলছে। শ্রীলঙ্কাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে তারা শেষ চারে উঠেছে। ভুটান বাংলাদেশকে অতীতে হারানো তো দূরের কথা, বলই জালে পাঠাতে পারেনি। তাই ম্যাচটিতে বাংলাদেশই পরিষ্কার ফেভারিট ছিল। এরপরও খানিকটা শঙ্কা ছিল ভুটানের কোচ বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার। তার কোচিংয়ে আগের ভুটানের চেয়ে এই ভুটানের বেশ পার্থক্য রয়েছে।
ম্যাচে অবশ্য সেই পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়নি। খেলা শুরুর দুই মিনিটের মধ্যেই সিরাত জাহান স্বপ্না বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন। কাউন্টার অ্যাটাকে স্বপ্না বল পেয়ে বক্সের মধ্যে আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। খানিকটা ইনজুরি নিয়ে খেলা স্বপ্নাকে ম্যাচের ১২ মিনিটে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয়।
স্বপ্না বেরিয়ে যাওয়ার ছয় মিনিট পর বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করে। এবার গোলদাতা অধিনায়ক সাবিনা। মিডফিল্ড থেকে বল পেয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। গোলরক্ষককে একা পেয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন।
৩০ মিনিটে ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রাণী সরকার হেডে গোল করে স্কোরলাইন ৩-০ করেন। বাম প্রান্ত থেকে করা ক্রসে বক্সের মধ্যে আনমার্কড থাকা কৃষ্ণার হেডে গোল করতে কোনো সমস্যাই হয়নি। পাচ মিনিট পর ব্যবধান আরো বাড়ান বদলি ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা। ৪-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির নয় মিনিট পর অধিনায়ক সাবিনা খাতুন নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। সংঘবদ্ধ আক্রমণে বক্সের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় বল নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় প্লেসিং করেন এই ফরোয়ার্ড। তিন মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে নেয়া সাবিনার ফ্রি কিক গোলরক্ষকের হাত থেকে ফস্কে গেলে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মাসুরা পারভীন টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান।
শেষ সময়ে তহুরা খাতুন ব্যবধানটা ৭-০ করেন। এরপর একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাবিনা। তাতে বাংলাদেশ ৮-০ গোলের বিশাল জয় নিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে।