বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাতে তিস্তার চর তালপট্টির একটি বাঁশ বাগানে এই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১৫ মে) দুপুরে সেখান থেকে ওই স্কুলশিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
স্কুলশিক্ষার্থীর বাবা উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের চর তালপট্টির গ্রামের দিনমজুর আইয়ুব আলী জানান, স্থানীয় আনন্দ স্কুলের ছাত্রী শাহিনা খাতুনকে (১৪) দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে আবুজার রহমান।
এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শাহিনার মা-বাবার অনুপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে আবুজার একই এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে নজির হোসেনকে নিয়ে এসে তাকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে পাশের একটি বাঁশ বাগানে নিয়ে যায়। এরপর দু’জন মিলে শাহিনাকে ধর্ষণ করে হাত-পা বেঁধে গলাকেটে হত্যা করে।
মা-বাবা রাতে বাড়িতে ফিরে শাহিনাকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে বাঁশ বাগানে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শাহিনার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে শাহিনার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবুজার ও নাজির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. এ. মান্নান বাংলানিউজকে জানান, শাহিনার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাসম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।