তুলে নেয়ার টানা দুই মাস পর সীমান্তের ওপারে ‘মুক্ত’ সালাহউদ্দিন আহমেদের মনোবল ফিরতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসা স্বজনরা। দীর্ঘ দিন আটকে রাখা ও মেঘালয়ে ‘চোখ বাধা’ অবস্থায় ছেড়ে দেয়ার পর শারিরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব। এ কারণে তাকে প্রথমে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করেছিল মেঘালয় পুলিশ। পুলিশের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কয়েকজন আত্মীয় সাক্ষাৎ করেছেন। তারা জানিয়েছেন ধীরে ধীরে তিনি মনোবল ফিরে পাচ্ছেন। তুলে নেয়ার পর থেকে তিনি কোথায় কিভাবে ছিলেন এ বিষয়েও তিনি কথা বলেছেন। হাসপাতালে তার পরীক্ষা নীরিক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষার পর তার চর্ম ও গলব্লাডারে সমস্যা ধরা পড়েছে। এর জন্য ওষুধও দেয়া হয়েছে। আজ দুপুরে চিকিৎসকের দেয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ি সালাহউদ্দিন আহমেদের আত্মীয় আয়ুব আলী বাইরে থেকে ওষুধ কিনে দিয়ে যান। তিনি মানবজিমনকে জানান, হাসপাতাল থেকেই বেশিরভাগ ওষুধ দেয়া হচ্ছে। সেখানে যে ওষুধ নেই তা বাইরে থেকে কিনে দিতে হচ্ছে। আজ সালাহউদ্দিন আহমেদকে দেখতে আরও কয়েকজন আত্মীয় এসেছেন। তারা তাকে থালা-বাসনসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দিয়ে গেছেন। তবে তাদের কেউই গণমাধ্যমের সামনে নাম পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।