গাজীপুর: কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করে সন্তান জন্ম দেয়া ও ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিকটিমদের অহরণ করার পর পিবিআই পুলিশ কর্তৃক আসামীর শ্যালকের হেফাজত থেকে ভিকটিমদের উদ্ধারের করা হয়। এই ঘটনায় পিবিআই প্রধান আসামী সাখাওয়াত চেয়ারম্যানকে আটক করেছে বলে খবর চাওড় হলেও পিবিআই বলছে আটকের খবর মিথ্যা।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, শনিবার( ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২) ভোররাতে কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ডে এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সাখাওয়ার চেয়ারম্যান গ্রেফতার বা আটকের অসংখ্য স্ট্যাটাস দেখা গেছে।
গাজীপুর পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোকছেদুর রহমান বলেছেন, আমরা সাখাওয়াতকে গ্রেফতার বা আটক করিনি। বিভিন্ন লোক ফোন করছে। এটি মিথ্যা।
সাখাওয়াত চেয়ারম্যান সকাল ১০টায় জানান, তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। আটক হওয়ার প্রশ্নই আসে না। একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত চলছে। এখানে আটক বা গ্রেফতারের খবর সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত: কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের বাসার কাজের মেয়ে অন্ত:সত্বা হয়ে পড়লে চেয়ারম্যার ৭মাসের গর্ভবতি ভিকটিমকে কাজের ছেলের সাথে বিয়ে দেন। এরপর ভিকটিমকে ভাড়া বাসায় সরিয়ে নেন। ১৬ আগষ্ট ভিকটিম একটি কন্য সন্তান প্রসব করেন। সন্তানটি সাখাওয়াত চেয়ারম্যানের বলে বাচ্চা কোলে মেয়েটি গণমাধ্যমে বলার পর ২৯ আগষ্ট বাচ্চা সহ মেয়ে ও মেয়ের মাকেও অহরণ করেন সাখাওয়াত চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও শ্যালক। এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশ কোন মামলা গ্রহন না করায় ভিকটিমের বাবা গাজীপুর নারী শিশু আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত ২৩ নভেম্বর প্রতিবেদন দিতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন। আজ ভোরে আসামীর শশুর বাড়ি থেকে পিবিআই ভিকটিমকে বাচ্চা সহ উদ্ধার করে সাথে বাচ্চার নানীও উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। পিবিআই বলছে, আদালতের আদেশ প্রতিবেদন দেয়ার। গ্রেফতারের নয়।