রানি এলিজাবেথের স্মরণে প্রার্থনা অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লন্ডনের সেন্টস পল চার্চে বিশেষ এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। দেশজুড়ে চলছে ১০ দিনের শোক। এদিকে নিজের প্রথম ভাষণে দেশ ও জাতির সেবায় কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ব্রিটেনের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান ব্রিটেন। তার আত্মার শান্তি কামনায় শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লন্ডনের সেন্টস পল চার্চে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। সম্মিলিত এ প্রার্থনায় দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসসহ মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্যদের পাশাপাশি নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
প্রার্থনা শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রানির বড় ছেলে, নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস। জানান, তার মা যে অঙ্গীকারে রাজত্বের সূচনা করেছিলেন; সেই একই অঙ্গীকার নিয়েই এগিয়ে যেতে চান। সম্মান, মর্যাদা এবং ভালোবাসার সঙ্গে জনগণের সেবা করতে চান বলেও জানান ব্রিটেনের নতুন রাজা।
এর আগে স্কটল্যান্ড থেকে লন্ডনে পৌঁছানোর পর বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা সাধারণ মানুষের সঙ্গে হাত মেলান রাজা চার্সল।
এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রয়ার আনুষ্ঠানিকতা ‘অপারেশন লন্ডন ব্রিজ’।
ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের সিংহাসনে ৭০ বছরের ঐতিহাসিক অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ৯৬ বছর বয়সে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার কফিন আগামী কয়েকদিন এডিনবরার সেন্ট জাইলস ক্যাথেড্রালে রাখা হবে সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। এরপর রানির মরদেহবাহী কফিনটি নেয়া হবে লন্ডনে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে অন্তত চারদিন রাখা হবে ওয়েস্টমিনস্টার হলে।
করোনার বিধিনিষেধ সাপেক্ষে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় দেশি-বিদেশি প্রায় দুই হাজার অতিথির যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। তার মরদেহ দেখতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম নিয়ন্ত্রণে পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।