আওয়ামী লীগের মোকাবিলা করা বিএনপির পক্ষে সহজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মিডিয়া সেলের উদ্যোগে ‘জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রগঠনে অবাধ, নিরপেক্ষ, নির্বাচনোত্তর একটি জাতীয় সরকার এবং দ্বিকক্ষ সংসদ অপরিহার্য’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় রুমিন ফারহানা বলেন, এতো বছর থেকে এই সরকার যেভাবে জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী প্রথা চালু করেছে তাতে এই ফ্যাসিস্টদের মোকাবিলা করা বিএনপির পক্ষে কোনোভাবেই সহজ নয়। কিন্তু আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বিএনপি এই কঠিন কাজটি করে আসছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় রুমিন ফারহানা আরও বলেন, একজন রাজনীতিবিদ নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করেন আর একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক চিন্তা করেন আগামী ১০০ বছরে দেশ কোথায় নিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান আগামী ১০০ বছর পর দেশকে কোথায় নিয়ে যাবেন সেই চিন্তা করছেন। কিন্তু তারেক রহমানের দুর্ভাগ্য যে, আওয়ামী লীগের মতো একটি ফ্যাসিস্ট সরকারকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হচ্ছে, যে আওয়ামী লীগের হাতে ১৯৭৩ সালেই গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে দেশ মারাত্মকভাবে সামাজিক মূল্যবোধ হারিয়েছে। এখন রাষ্ট্র মেরামত প্রয়োজন। কিন্তু বিএনপি বিশ্বাস করে তাদের পক্ষে একা এ কাজটি করা সম্ভব নয়। এজন্য বিএনপি একটি জাতীয় সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হলে রাষ্ট্রের সব অঙ্গ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, গত ১৩ বছরের একনায়কতন্ত্রকে ভাঙতেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ খুবই জরুরি। আগামীর রাষ্টনায়ক তারেক রহমান দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করেছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এনি।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট এমদাদ উল্লাহ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম শাহীন, সুজন সিলেট চাপ্টারের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, ড্যাবের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শামিমুর রহমান, শাবির সাদাদল শিক্ষক পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম, ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাবির শিক্ষক প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ ইকবাল, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিদ্দিকুর ইসলাম, সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিলেট জেলার সভাপতি এডভোকেট আনসার খান, বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ডা. শিব্বির আহমেদ শিবলী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আবুল ফজল, কবি সালেহ আহমদ খসরু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ প্রমুখ।