রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আল মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা সদর থানা পুলিশ। বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সদরের ক্রোক স্লুইস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুঠিয়ার পৌর মেয়র আল মামুন একই উপজেলার গন্ডগোহালী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। তিনি পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের এপ্রিল মাসে পৌরসভায় চাকরির জন্য মেয়রের কাছে গিয়েছিলেন স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ীর মেয়ে। এরপর মেয়র মামুন বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন ওই তরুণীকে এক পর্যায়ে তার এই অনৈতিক কাজে রাজী না হওয়ায় মেয়র তাকে বিয়ের প্রলোভনে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি মেয়র তাকে চাকরি বা বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেন।
বিষয়টির প্রতিবাদ করায় মেয়রের সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন তরুণীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ কারণে মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকে মেয়র আল মামুন পলাতক ছিলেন।
এরপর আজ বুধবার সকালে বরগুনা থানা পুলিশ জানতে পারে মেয়র মামুন বরগুনা সদরে তার গাড়িচালকের বাসায় লুকিয়ে আছেন। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত পুঠিয়ার মেয়রের গাড়িচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি (মেয়র) বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তাই তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে ফাঁসিয়েছে। তিনি গতকাল আমাদের বাসায় এসেছিলেন। আজ সকালে পুলিশ আমার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ মামলা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, পুঠিয়া থানা থেকে তথ্য দেওয়া হলে বরগুনা সদরের ক্রোক স্লুইস এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মেয়রকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়ায় পুঠিয়া পুলিশের কাছে আসামিকে হস্তান্তর করা হবে।