বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ড. বদরুদোজ্জা চৌধুরী ও অলি আহমেদের নেতৃত্বে নতুন বিএনপি গঠন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মঞ্জুর হোসেন স্টেডিয়ামে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আবদুর রহমান বলেন, বিএনপির দুইটি উইকেট পড়ে গেছে। একটি উইকেট বি চৌধুরী এবং অপরটি অলি আহমেদ। তবে তাদের নেতৃত্বে বিএনপির অনেক নেতা গোপনে গোপনে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা ও তারেককে বাদ দিয়ে তারা আগামী নির্বাচনে আসবে। আর সেই নির্বাচনে যদি বিএনপি আসে তবে শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবেন।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আবদুর রহমান আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে অভ্যন্তরীণ সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে বিএনপি বলছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না, নির্বাচন হতেও দেবে না। এই নির্বাচন বানচাল করার জন্য ইতোমধ্যে বিএনপি নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলেও অভিযোগ করেন আবদুর রহমান।
তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য ও সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি করলে কোনো বাধা দেয়া হবে না। কিন্তু যদি তারা আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, মানুষের জানমাল ও সম্পদের ক্ষতি করে তাহলে ছাত্রলীগের একজন নেতা জীবিত থাকতে এই সহিংসতা হতে দেয়া হবে না।
নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে বিএনপির অনীহার কারণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচনে আসতে চায় না তার প্রধান কারণ হচ্ছে তাদের নেতা ঠিক নাই। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগ করছেন। আর তারেক রহমান মানি লন্ডারিং ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে লন্ডনে পলাতক আছেন। এখন কে বিএনপির নেতা? সেটা যদি ঠিক না হয় তাহলে সেই দলের ভোটাররা কী করবে? এ জন্য তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসতে ভয় পায়।
সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ বক্তব্য দেন।