ভারতকে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসাবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আয়োজিত সংবর্ধনা কাম নৈশভোজ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আলাদা সম্পর্ক রয়েছে। কারণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারত সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমস্যা থাকতে পারে কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে যেকোন সমস্যারই সমাধান করা যায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সকালেই নয়াদিল্লি পৌঁছান তিনি। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান। বিমানবন্দরে শেখ হাসিনার জন্য ছিল লাল গালিচা সংবর্ধনা। এ ছাড়া স্বাগত নৃত্য আর বাদ্যযন্ত্র পরিবেশন করে তাকে অভ্যর্থনা জানায় একটি সাংস্কৃতিক দল।