বিপজ্জনকভাবে জ্বালানি নিঃসরণ; আবার থমকে গেল নাসার রকেট উৎক্ষেপণ

Slider তথ্যপ্রযুক্তি

চাঁদে যাবার জন্য নাসার নতুন রকেটটি শনিবার বিপজ্জনকভাবে আবারো জ্বালানি লাইনে ফুটো হওয়ায়, তাদের দ্বিতীয় প্রচেষ্টাটিও বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা। ওই রকেটে একটি ক্রু ক্যাপসুলকে চাঁদের কক্ষপথে পরীক্ষামূলক ডামিসহ পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।

সপ্তাহের শুরুর দিকে হাইড্রোজেন নিঃসরিত হলে প্রথম প্রচেষ্টাটি বিঘ্নিত হয়। তবে ৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের নাসার তৈরি এই সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটটির অন্য কোথাও ওই নিঃসরণ হচ্ছিল।

নাসা ঠিক কবে আবার চন্দ্রাভিযানে যাবার চেষ্টা করতে পারে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলা হয়নি। মঙ্গলবারের পর দুই সপ্তাহের একটি যাত্রাবিরতি ছিল৷ ব্যাপক জ্বালানি নিঃসরণ মেরামতের জন্য রকেটটিকে প্যাড থেকে সরিয়ে তার হ্যাঙ্গারে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন হতে পারে, সম্ভবত ফ্লাইটটিকে অক্টোবরের দিকে আবারো উড্ডয়নের চেষ্টা করা হতে পারে৷

রকেটটি উড্ডয়নের পরিচালক চার্লি ব্ল্যাকওয়েল-টম্পসন এবং তার দল শনিবারের নিঃসরণকে বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল, যেমনটি তারা গতবার করেছিল, যাতে সরবরাহ লাইনের একটি সিলের চারপাশের ফাঁক দূর করার আশায় অতি-ঠান্ডা তরল হাইড্রোজেনের প্রবাহ বন্ধ করা এবং পুনরায় তা চালু করা যায়। তারা দুবার চেষ্টা করেছিল, তবে লাইনের মধ্য দিয়ে হিলিয়ামও উদ্গিরিত হচ্ছিল এবং নিঃসরণও অব্যাহত ছিল।

ব্ল্যাকওয়েল-টম্পসন তিন থেকে চার ঘণ্টার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রকেটটির যাত্রা থামিয়ে দেন।

তারপর নাসার লঞ্চ ভাষ্যকার, ডেরল নেইল ঘোষণা করেন, ‘আজকের জন্য আমাদের যাত্রা বাতিল করে দিতে হচ্ছে।’

পাঁচ সপ্তাহের পরীক্ষামূলক এই উড্ডয়নটি সফল হলে, মহাকাশচারীরা ২০২৪ সালে চাঁদের চারপাশে উড়তে পারবে, এবং ২০২৫ সালে এটি চাঁদে নামতে পারে। ৫০ বছর আগে মানুষ শেষবারের মতো চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল।

কয়েক দিনের ঝড়ো আবহাওয়ার পর, শনিবারের প্রথম দিকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে উৎক্ষেপণ দলটি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটে প্রায় ১০ লাখ গ্যালন জ্বালানি ভরাতে শুরু করে।

কিন্তু অপারেশনের কয়েক মিনিটের মধ্যে, নিরাপত্তা নিয়ম লঙ্ঘন করে রকেটের নিচের ইঞ্জিন বিভাগ থেকে হাইড্রোজেন জ্বালানি বের হতে শুরু করে।

৪১০ কোটি ডলারের নাসার পরীক্ষামূলক ফ্লাইট, এই চন্দ্র অন্বেষণের প্রথম ধাপটির নামকরণ করা হয়েছে, গ্রিক পুরাণে অ্যাপোলোর যমজ বোন আর্টেমিসের নামে।

নাসার অ্যাপোলো প্রোগ্রামের আওতায় বারোজন নভোচারী চাঁদের মাটিতে হেঁটেছেন। শেষবার, ১৯৭২ সালে।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *