আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, দেশে গুম বলে কিছু নেই। বিএনপি গুম-খুনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হানিফ।
হানিফ আরও বলেন, আমরা দেখেছি কয়েক দিন আগে বিএনপি গুম-খুন নিয়ে নাটক করল। তাদের নাকি কয়েকশ নেতাকর্মী গুম হয়েছে। আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম, কারা গুম হয়েছে? তালিকা দেন। এর আগে বলল ৫০০ নেতাকর্মী গুম হয়েছে। তালিকা চাওয়া হলো, তালিকা দিতে পারে না। এরপর যখন তালিকা খোঁজ করা শুরু হলো, যখন বারবার সরকার থেকে বলা হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে, তখন দেখা গেল তাদের অনেকেই ফেরত এসেছে। অনেকেই চলে এসেছে। এখন ৫০০ থেকে নামতে নামতে নাকি ৭০ জনে এসেছে। এখন নাকি ৭০ জনকে পাওয়া যাচ্ছে না। তো বাকি ৪৩০ জন কোথায় ছিল এতদিন? কেউ ছিল বিদেশে পালিয়ে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি এবং সামাজিক গোলযোগের কারণে বিভিন্ন সময় হয়তো মামলা হয়েছে, তাই ভয়ে তারা বিদেশে পালিয়ে ছিল। তাদের লোকগুলো অপকর্ম ঢাকতে চলে যায় আর তারা সরকারের বিরুদ্ধে গুম খুনের মিথ্যা অভিযোগে রাস্তায় নেমে মিথ্যাচার করে। এখন এসে ৭০ জনে ঠেকেছে। বাকি ৪৩০ জনকে পাওয়া গেছে সব জায়গাতেই। আমরা আশা করি এই ৭০ জনকেও পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধু এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আমাদের সেই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগ সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ কখনো গুম-খুনে বিশ্বাসী নয়।
হানিফ বলেন, এদেশে গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তার সাক্ষ্য-প্রমাণ আজকে বারবার চলে আসছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকতে আমাদের যুবলীগ নেতা মাহবুব মামুনকে হত্যা করেছিলেন। তার লাশ পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মৌলভী, তাকে গুম করেছিল এবং তাকে হত্যা করেছিল। তার অপরাধ ছিল একটাই, সেসময় জিয়ার সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন, তাই তাকে গুম করে হত্যা করেছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনীর ১২০০ সামরিক কর্মকর্তাকে মিথ্যা অভিযোগে বিনা বিচারে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছিলেন।