লালমনিরহাটের তিস্তাপাড়ের নিন্মাঞ্চল আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তার বানের পানিতে ভাসছে মানুষ। তিস্তার পানি ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়। তালিয়ে যায় লালমনিরহাটের তিস্তাপাড়ের ৪টি উপজেলার ৩২টি ইউনিয়ন। পানিবন্দী পরিবারগুলো অনকেই পায়নি ত্রাণ। হাতিবান্ধা,কালীগঞ্জ,আদিতমারী ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে পানিবন্দী। কারো ঘড়, বিছানা ও রান্নার চুলা তালিয়ে গেছে পানিতে।
রাহিমা জানান, সকাল থেকে কিছুই খাইনি। খাবার নেই। মেম্বার-চেয়ারম্যানের বাড়িতে গেলাম কিছুই পাইনি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড নিবার্হী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, দুপুরের পর পানি কমে যাবে তবে তিস্তার বন্যার পানি গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাগঞ্জে দিকে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর জানান, সকালে পানিবন্দী তিনশ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে প্রয়োজনে আরও বিতরণ করা হবে।