মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি নির্বাচনি কারচুপির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মিয়ানমারের কয়েক দশকের সামরিক শাসনের বিরোধিতাকারী নোবেল বিজয়ী সু চিকে গত বছরের শুরুর দিকে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে থেকে আটক করা হয়। ইতোমধ্যে তাকে বিভিন্ন মামলায় ১৭ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সু চি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শুক্রবার তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতি করেছেন বলে আনা অভিযোগের বিচার করা হয়। ওই নির্বাচনে তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) আইনসভায় ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল এবং শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর তৈরি করা দলটি পরাজিত হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করার অনুরোধে সাড়া দেননি। জান্তা বলেছে, সু চির যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিচার হচ্ছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। সু চির এনএলডিকে নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠন করা থেকে বিরত রাখার জন্য তারা বলেছিল, নির্বাচনে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, যা সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়নি।
এনএলডি জালিয়াতির কথা অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, তারা স্বচ্ছভাবে জিতেছে।
৭৬ বছর বয়সী সু চিকে দুর্নীতি এবং উসকানি থেকে শুরু করে অফিসিয়াল গোপনীয়তা ফাঁস পর্যন্ত একাধিক অভিযোগে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। এসব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বমোট সর্বোচ্চ ১৯০ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।
দেশটির রাজধানী নেপিদোতে সু চির বিচার অন্তত্য গোপনভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং বিচারের বিষয়ে জান্তার বক্তব্য খুবই সীমিত। সুচির আইনজীবীদের ওপরেও এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীর মতে, ক্ষমতা দখলের পর থেকে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর দমন অভিযানে দুই হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১৫ হাজার জনেরও বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স