বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশী হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দলটির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের আচরণ আরেক রকম। প্রধানমন্ত্রী এক ধরনের আশ্বাস দিচ্ছেন। আর যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা বিরোধী দলের সঙ্গে অন্যরকম আচরণ করছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে আওয়ামী লীগ কেন মাঠে নামছে- এমন প্রশ্ন রেখে রুমিন ফারহানা বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে নাশকতা ঠেকাতে তারা মাঠে আছে। নাশকতা ঠেকানোর জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হলে পুলিশ প্রশাসন পুষে লাভ কী?
তিনি বলেন, সরকার দাবি করে দেশে গণতন্ত্র আছে; আমি যদি তর্কের খাতিরে ধরেই নিই দেশে গণতন্ত্র আছে, তাহলে প্রশ্ন করি, এত ভয় কেন? বিরোধী দল বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছে, মিছিল করছে। সেটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সেইটুকু সহ্য করবার সাহস ও মুরোদ যদি না থাকে রাজনীতি ছেড়ে দেন। পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আর কয়দিন রাজনীতি করবেন? বিরোধী দলকে দমন করে আর কয়দিন রাজনীতি করবেন?’
রুমিন ফারহানা বলেন, সরকার যদি মনে করে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের কায়দায় খেলা হবে বলে অন্ধকারে কিংবা খেলা হবে বলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তাহলে ভুল করবে।
ভোলায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির দুজনের মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের কোনও তদন্ত হয়নি। কিন্তু বরগুনায় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ছাত্রলীগের গায়ে পুলিশের লাঠির বাড়ি পড়ার আগেই পুলিশ বদলি করা হয়েছে।
পরে অবশ্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার বক্তব্যের জবাব দেন সরকারি দলের সিনিয়র সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, তিনি সাধারণত পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়ান না। কিন্তু তার জন্মস্থান ভোলা। প্রকৃত ঘটনা অনেকে জানেন না। সেদিন মিছিল শুরুর আগেই বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা ইটপাটকেল ছুড়ে পুলিশকে আক্রমণ করেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেদিন মাঠেই নামেনি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর ভোলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাড়িঘরেই থাকতে পারেননি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি রুমিন ফারহানাকে স্নেহ করেন। কিন্তু রুমিন এমনভাবে কথা বলেন যেন তিনি ঝগড়া করতে এসেছেন। একতরফা বক্তব্য দেওয়া ভালো নয়।