ধর্ষণের পর নবজাতকসহ অপহরণ : পিবিআইয়ের তদন্ত শুরু

Slider নারী ও শিশু

গাজীপুর: গাজীপুরে ধর্ষণের পর জন্ম নেয়া নবজাতক ও প্রসূতি কিশোরী গৃহপরিচারিকাকে গুম-খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এঘটনায় মামলার তদন্তে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার নাম সাখাওয়াত হোসেন প্রধান। তিনি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামীলী যুবলীগের সভাপতি।

জানা গেছে, আদালত মামলটি আমলে নিয়ে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী ২৩ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, কিশোরী গৃহকর্মীকে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রায়ই ধর্ষণ করতেন সাখাওয়াত। এক পর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান স্থানীয় কবিরাজের কাছ থেকে ওষুধ এনে ধর্ষিতাকে খাইয়ে দেন। এতে ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গেছে ভেবে তিনি বেশ কিছু দিন স্বস্থিবোধ করছিলেন। কিছু দিন পর থেকে কিশোরীর গর্ভ প্রকাশ পেতে থাকলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু ভ্রুণের পরিপক্কতা ও গর্ভবতী কিাশোরীর বয়স বিবেচনায় গর্ভপাতে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকায় গত ১২ জুন মেয়েটিকে ১৫০০ টাকা দিয়ে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। গত ১৬ আগস্ট গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে উপজেলার তরগাঁও হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় ওই কিশোরী। এর পর প্রসূতির বাবা কাপাসিয়া থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি। বরং অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার ৩০ থেকে ৩৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী গত ২৯ আগস্ট তাদের ভাড়া বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র তছনছ ও ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র রাস্তায় ফেলে দেয় এবং নবজাতকসহ কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন প্রধান বলেন, তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নন। ডিএনএ টেস্টে প্রমাণ মিলবে না বলেও তিনি দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *