গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের ২০ হাজার টাকা জামানত রাখতে হবে। আর পৌর ও ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডের জন্য ৫০০ টাকা করে ভোটার তালিকার সিডিও (কম্প্যাক্ট ডিস্ক) কিনতে হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব খোরশেদ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে চিঠির মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি প্রার্থীদের মাঝে প্রচারের জন্য বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগ্রহী প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডের জন্য ৫০০ টাকা এবং ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডের জন্য ৫০০ টাকা হারে ট্রেজারি চালান/পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা সিডি রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সিডি ক্রয়ের অর্থ জমাদানের কোড “১-০৬০১-০০০১-২৬৩১”।
তিনি আরও জানান, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীকে জামানত হিসেবে নগদ বা ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে। জামানত যেকোনো ব্যাংক অথবা সাব-ট্রেজারিতে ৬/০৬০১/০০০১/৮৪৭৩ কোডে জমা দিতে হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এই নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৩ সেপ্টেম্বর, বাছাই ১৫ সেপ্টেম্বর, আপিল ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২২ সেপ্টেম্বর।
গত ২৪ জুলাই সংসদ সচিবালয়ের সচিব কেএম আব্দুস সালাম আসনটি শূন্য ঘোষণার গেজেট প্রকাশ করেন। এতে উল্লেখ করা হয় জাতীয় সংসদের সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ২৩ জুলাই মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ৩৩ গাইবান্ধা-৫ আসনটি ওই তারিখে শূন্য হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে শূন্য আসনটিতে উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।