যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলি ও আগুন সন্ত্রাসের পৃথক পৃথক ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া টেক্সাসে বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর পলায়নরত মানুষের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় আরও চারজন নিহত হয়েছেন।
ডেট্রয়েটের ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন। সোমবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং এএনআই।
এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট শহরে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি পৃথকভাবে চারজনকে গুলি করে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন এবং অন্যজন আহত হয়েছেন। সন্দেহভাজন ওই অপরাধীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
মিডওয়েস্টার্ন সিটির পুলিশ প্রধান জেমস হোয়াইট গণমাধ্যমকে জানান, হামলাকারীর গুলিতে নিহত তিনজনের মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ। তাদেরকে রোববার ভোরে শহরের পৃথক স্থানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
অন্যদিকে গুলিতে আহত চতুর্থ ব্যক্তি সন্দেহভাজন ব্যক্তির গাড়ির পাশে যান এবং তাকে থামতে বলেন। এরপরই সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি তাকে গুলি করেন বলে জানান জেমস হোয়াইট।
পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন মারা গেছে এবং একজন বেঁচে গেছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে। কেউ তাকে চিনতে পারলে পুলিশে জানানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে টেক্সাসের হিউস্টনে এক ব্যক্তি একটি ভবনে আগুন দেওয়ার পরে সেখান পালিয়ে যাওয়া লোকদের ওপর গুলির ঘটনায় কমপক্ষে চারজন নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার সকালে এই ঘটনা ঘটে বলে শহরের পুলিশ প্রধান ট্রয় ফিনার নিশ্চিত করেছেন।
সিএনএন জানিয়েছে, নিহত ওই চারজনের মধ্যে সন্দেহভাজন ব্যক্তিও রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন। মূলত পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী হিউস্টনের এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে নিহত হন।
ফিনারের মতে, নিহতরা সবাই পুরুষ এবং তাদের বয়স ৪০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তিনি বলেন, ‘সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি দুর্ভাগ্যবশত এবং খুব দুঃখজনকভাবে বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে আগুনের মধ্যে ফেলার চেষ্টা করে।’
তার মতে, হামলাকারী সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি ৪০ বছর বয়সী আফ্রিকান আমেরিকান বলে মনে করা হচ্ছে।