পিরোজপুর পৌর এলাকার খামকাঁটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষক নিজেই টিকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। টিকাদানের পর অসুস্থ হয়ে পড়া মিম আক্তার (৯) নামের ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেলে জেলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মিমের খালা নূপুর আক্তার। সে পিরোজপুর পৌরসভার খামকাটা এলাকার মনির হাওলাদারের মেয়ে।
মিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমা রানী মিত্র তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম আক্তারকে রুমে ডেকে নিয়ে নিজেই একটি টিকা দেন। বাড়িতে ফিরে মিম প্রচণ্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করে। তাকে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান জেলা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
তবে, প্রধান শিক্ষক কী কারণে এমনটা করেছেন তা জানেন না পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিচার চেয়েছেন পরিবারের লোকজন।
আহত মিমের খালা নূপুর আক্তার জানান, দুই দিন ধরে মীম প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত ছিল। হাঁটাচলা করতে পারে না, খাবারও খেতে পারে না। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, প্রধান শিক্ষক ম্যাডাম তাকে রুমে ডেকে নিয়ে জোর করে একটা ইনজেকশন দেয়। এতে সে অনেক ব্যথা পায়। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে ম্যাডামের বিচারের দাবি জানাই।
জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমীন আক্তার জানান, শিশুটির শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট কোনো কারণ বোঝা যাচ্ছে না। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
৬৬নং খামকাঁটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমা রানী মিত্র বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন বলে জানান।