মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩২৩ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ২১৭ জনের দেহে। এনিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ১১ হাজার ৩১৭ জনে।
রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৯৯ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৫৬৩ জন।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৬৮৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৪ হাজার ৬৯৫টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এর আগে শনিবার (২৭ আগস্ট) করোনায় দুজনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে করোনা শনাক্ত হয় ১৫৬ জনের দেহে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের হুয়ানান সি-ফুড ও বন্যপ্রাণীর বাজার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল। ওই বাজার ছিল মহামারির কেন্দ্র। একাধিক গবেষণায় এর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণও পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত দুটি গবেষণায় উহান শহরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তথ্য-উপাত্তগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৬ জুলাই ওই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের শুরুর দিকের সংক্রমণের ঘটনাগুলো হুয়ানান বাজারের আশপাশেই হয়েছিল। অপর গবেষণাটিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সঠিক সময় জানতে করোনার জেনেটিক তথ্য ব্যবহার করা হয়।
এর মানে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম সংক্রমণের খবর এলেও ওই বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের দুটি ধরন বিদ্যমান ছিল।
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।